কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক স্থলেই নিরাপত্তায় গাফিলতির ছবি ! মেয়াদ উত্তীর্ন অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র

5th November 2020 9:58 am বাঁকুড়া
কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক স্থলেই নিরাপত্তায় গাফিলতির ছবি ! মেয়াদ উত্তীর্ন অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  আর কিছুক্ষণ পর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ র কর্মসূচী বাঁকুড়া রবীন্দ্রভবনে , আর তারই মধ্যে রবীন্দ্রভবন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে । কারণ রবীন্দ্রভবনে যে সকল অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র গুলো রয়েছে সেগুলি সবই মেয়াদ উত্তীর্ণ । ফলে অগ্নি সংযোগের নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজনৈতিক মহলে।আর কিছু সময়ের অপেক্ষা,কিছু সময় পরেই বাঁকুড়া সফরে আসছেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ  । বাঁকুড়ার রবীন্দ্রভবনে বেলা ১১ টা নাগাদ রাঢ়বঙ্গের দুই জোনের বিজেপি নেতৃত্তের সাথে রাজনৈতিক বৈঠকে উপনীত হবেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ  । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর আগমনে নিরাপত্তা বলয়ে মুড়ে ফেলা হয়েছে গোটা বাঁকুড়া জেলাকে । জেলা জুড়ে চলছে পুলিশ ও গোয়েন্দা দপ্তরের বিশেষ নজরদারি। কিন্তু সেই নজরদারির মাঝেই উঠে এল রবীন্দ্র ভবনের ভেতরের অনিরাপত্তার ছবি। রবীন্দ্র ভবনের ভেতরের দেওয়ালে লাগানো প্রতিটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ ! যে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র অগ্নিসংযোগের ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে সেই  যন্ত্র মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রবীন্দ্র ভবনের ভেতরের অগ্নিসংযোগের নিরাপত্তা নিয়ে। উচ্চপদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা যখন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নিরাপত্তা দেখভালে রয়েছেন তখন সেই নিরাপত্তার স্বার্থে তাদের এই অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র নজরে এলো না  কেন সে প্রশ্নই এখন বড় হয়ে দেখা দিয়েছে।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।